স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের আদলে সিটি করপোরেশনে নগর আদালত প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন গণমাধ্যমকর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা।
আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ আদালত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন আলোচকরা।
মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংস্থাটির কার্যালয়ে শুক্র ও শনিবার দুদিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার সহযোগিতায় ছিল আইন, বিচার ও সংবিধানবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।
কর্মশালায় নগর আদালত নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, সালিশ বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের একটি জনপ্রিয় প্রথা ও আপস মীমাংসার ব্যবস্থা। স্বল্পসময়ে এই পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মামলাজট নিরসন করা সম্ভব। সালিশের জন্য ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে গ্রাম আদালত ও পৌর করপোরেশন আছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনে সে ধরনের আইনি কোনো সালিশি ব্যবস্থা নেই।
তাই বক্তারা নগর আদালত আইন প্রণয়নের দাবি জানান। এ ধরনের প্রস্তাবিত একটি আইনের খসড়াও তুলে ধরা হয় কর্মশালায়। সেই খসড়া নিয়ে আলোচকরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন- ব্লাস্টের নির্বাহী প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, মাদারীপুর লিগ্যাল এইডের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইদা সালমা, কাউন্সিলর ডেইজি আফরোজ, মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট খান মো. শহীদ, সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম মিয়া।
এছাড়াও শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নে সরাসরি গ্রাম্য সালিশ ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করেন অংশ নেয়া সাংবাদিকরা।
কর্মশালায় ল‘রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাশহুদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান জাবেদ, সিনিয়র সদস্য আশরাফ-উল আলম, এমএ নোমান, মিল্টন আনোয়ার, এলআরএফের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম পান্নু, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ ২৩ জন সদস্য অংশ নেন।